প্রকাশিত: Thu, Feb 23, 2023 3:32 PM
আপডেট: Sat, Dec 6, 2025 11:43 PM

গুয়াহাটিস্থ বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনকে প্রস্তাব

বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে চান উলফা নেতা অনুপ চেটিয়া

মাছুম বিল্লাহ: বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে আগ্রহী উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়া। এ জন্য আসামের গুয়াহাটিস্থ বাংলাদেশ সহকারি হাইকিশনার রুহুল আমিনের সঙ্গে সাক্ষাত করে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তার উদ্যোগে ‘ইনডিজিনাস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, অসম’ গঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই সংস্থাটির প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনার রুহুল আমিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর পাশাপাশি সাংস্কৃতি সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করেন।

দীর্ঘ ১৮ বছর বাংলাদেশের কারাগার থেকে গত ৮ বছর আগে দেশে ফিরে এখন ভারত সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি সেখানে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছেন। গত নভেম্বরে বাংলাদেশি ছেলে অনির্বান চৌধুরীর সঙ্গে তার একমাত্র কন্যা বন্যা বড়ুয়াকে বিয়ে দিয়েছেন। চলতি মাসে তিনি বাংলাদেশ এসে ঘুরেও গেছেন।  ঢাকা ছাড়ার আগে তিনি গণমাধ্যমেেক দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতি তার এক বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ‘ইনডিজিনাস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’  জানায়, বৈঠকে আসাম-বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। শুধু অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য নয় বরং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ককে উন্নীত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

সহকারি হাইকমিশনার রুহুল আমিন বলেন, তৈরি পোশাক, ইলিশ মাছ, উন্নত মানের বীজ, মাছের বীজ বাংলাদেশ থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে আমদানি করা যেতে পারে। পাশাপাশি ট্যুরিজম এবং বিশেষ করে মেডিকেল ট্যুরিজম বাড়ানো যেতে পারে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ চীনকে ছাড়িয়ে ইউরোপের বাজারে তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন সিল্কের কাপড়ের উৎস হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বাণিজ্য বিনিময় বাংলাদেশ এবং ভারতের এই অঞ্চল উভয়কেই পরিবহন খরচ কমিয়ে বাজারে প্রতিযোগিতামূলক হতে সাহায্য করবে। 

বৈঠকে জকিগঞ্জ-করিমগঞ্জ, সোনাহাট-ধুবরি, তামাবিল-ডাউকি ও ডালু স্থলবন্দরের মাধ্যমে বাণিজ্যিক সংযোগ গড়ে তুলতে সীমান্ত ট্রান্সশিপমেন্টের জটিলতাগুলো দূর করতে যানবাহনের জন্য ট্রান্স-বর্ডার পারমিটের ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব